Lead Newsকরোনাভাইরাসস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

৬টি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চলছে : ডব্লিউএইচও

নভেল করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের জেরে সারা পৃথিবীতে সাত লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সারা বিশ্বে এক কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ রোগের শিকার হয়েছে। এখন বিশ্ববাসী একটি জিনিসের আশাতেই দিন গুনছে, তা হলো করোনার ভ্যাকসিন। করোনা প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিনই একমাত্র বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ছয়টি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিনই চীনের। ডব্লিউএইচওর জরুরি স্বাস্থ্য কার্যক্রম বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা নেই যে এসব ভ্যাকসিনই কার্যকর হবে। সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন ও সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ খবর জানিয়েছে।

সারা পৃথিবীতে মোট ১৬৫টি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। প্রতিটি ভ্যাকসিন আলাদা আলাদা পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে ২৬টি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো জানিয়েছে, তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালে প্রচুর সংখ্যক মানুষের ওপর ভ্যাকসিনের প্রয়োগ হয়। দেখা হয় সবচেয়ে বেশি কত সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিনের দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।

তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শেষ না হলে ভ্যাকসিন যে কার্যকর হবেই, এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না। তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালে রয়েছে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক, উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট ও বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের ভ্যাকসিন।

যুক্তরাষ্ট্রে জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মডার্না করোনা ভ্যাকসিনের ওপর সবার আগে থেকে কাজ শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের ভ্যাকসিনের প্রথম দুই পর্বের পরীক্ষা আশাব্যঞ্জক। সবচেয়ে কঠিন তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল গত ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়ে গেছে।

এ ছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আলাদা আলাদা দেশের মানুষের ওপর চলছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের সহযোগী।

ভারতে দুটি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ হচ্ছে। যে দুটি সংস্থা কাজ করছে সেগুলো হলো ভারত বায়োটেক ও জাইডাস ক্যাডিলা। দুটি সংস্থাই হিউম্যান ট্রায়াল বা মানবশরীরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছে। ভারত বায়োটেক এর আগে পোলিও, র‍্যাবিস, চিকুনগুনিয়া, জাপানি এনকেফালাইটিস, রোটাভাইরাস ও জিকা ভাইরাসের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − nine =

Back to top button