৯৯৯-এ কল পেয়ে বিয়ের রাতেই স্বামীর হাতে নির্যাতিত স্ত্রীকে উদ্ধার!
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে বিয়ের রাতেই বরের নির্যাতনের হাত থেকে কনেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার সহযোগিতায় ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বুধবার উদ্ধার হওয়া ওই নারী এই প্রতিবেদককে এসব তথ্য জানান।
কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী নারীর নাম খাদিজা আক্তার। এ ঘটনায় তিনি কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৩ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তার স্বামী ওমর ফারুকসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি জানান, জুন মাসের ৫ তারিখ তার বিয়ে হয় উপজেলার মালিগাঁও গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ওমর ফারুকের সাথে। বিকালে তাকে শ্বশুর বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে তারা মেনে নেয়নি। উল্টো মারধর করে।
তখন স্বামী ফারুক তাকে জানান, তারা উপজেলার গৌরিপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকবেন। তাকে উপজেলার মোহাম্মদপুর নামে একটি এলাকায় নিয়ে কিছু লোকের নিকট ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা তাকে মারধর করে তার গায়ের গহনা খুলে নেয়।
পরে পুলিশের ফোন পেয়ে তারা তাকে ফেলে চলে যায়। এই মুহূর্তে তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। তার সাথে প্রতারণার বিচার চান তিনি।
ভুক্তভোগীর খালাতো ভাই মেহেদী হাসান জানান, খাদিজার বাবা মৃত। আমরা তাদের পরিবারকে দেখভাল করি। আনন্দের সাথে বোনকে বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সন্ধ্যায় বোনের স্বামী ফারুক ফোন করে জানান, এক লাখ টাকা নিয়ে আসতে, নাহলে তাকে মেরে ফেলবেন। নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলাম।
পরে দাউদকান্দি থানা পুলিশ ফারুককে ফোন করলে তিনি বোনকে ফেলে চলে যান। বোন ওই এলাকা চিনেন না। তার সাথে ফোনও নেই। রাতে পুলিশ লোকেশন ট্র্যাকিং করে বোনকে উদ্ধার করে। সেই সব ফোন রেকর্ড তার নিকট সংরক্ষণে আছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার বিকেলে মামলার আইনজীবী জামিল আহমেদ রাতুল বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আসামিরা নারী পাচারকারী। বিয়ের রাতেই ওই নারীর সাথে জঘন্য আচরণ করেছে। আদালত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি থানার এসআই মো. হারিসুল হক বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দ্রুত আদালতে জমা দেব।
এদিকে, অভিযুক্ত ওমর ফারুককের ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।